নারী কেলেঙ্কারীর পর এবার মদ্যপ অবস্থায় গণধোলাই খেলেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রানা!

 


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ২৪ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি অনুমোদন দেন। যেখানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পায় সাকিবুল ইসলাম রানা। তারপর থেকেই  একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন রানা। জানা গেছে রানা রাজশাহী কলেজে পড়া অবস্থায় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, এছাড়াও নগরীর দরগাপাড়ায় সাইকেল চুরির অভিযোগে তৎকালীন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি ঘোষ তাকে হোস্টেল থেকে বের করে দেন।তারপর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর পরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার নারী কেলেঙ্কারীর অশ্লীল ভিডিও ফাঁস হয়। 

অভিযোগ এসেছে আজ রাত আনুমানিক ২ঃ৩০ মিনিটে নগরীর ঘোষপাড়া মোড়ে মদ্যপ অবস্থায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, সহ আরো কিছু টোকাই ছেলেপেলে ঘোষপাড়া মোড়ে  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে গালিগালাজ করতে থাকে তখন এলাকার লোকজন কি করছে জিজ্ঞেস করলে বলে একজনকে খুন করতে এসেছি তখন এলাকাবাসীর সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হয় এবং একপর্যায়ে রানা উত্তেজিত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর পর এলাকাবাসী একসাথে জড়ো হয় সভাপতি রানা সহ বাকিদের গন ধোলাই দেন। আরো জানা গেছে স্থানীয়দের হাত থেকে বাঁচতে রানা ও তার সহযোগীরা দুইটি মোটর সাইকেল ফেলে দিয়েই পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বোয়ালিয়া থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে মোটর সাইকেল দুটি আটক করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের মত এত বৃহৎ ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হয়ে রানা যেই কাজ করছে তা খুবই জঘন্য। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের ইতিহাসে সাকিবুল রানার মত অযোগ্য, অছাত্র, চরিত্রহীন সভাপতি কখনো দেখিনি। তাদের এরকম ঘৃন্য কর্মকান্ডে জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কলঙ্কিত হচ্ছে।জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রানার লাগাম দ্রুত টেনে না ধরলে রাজশাহীতে আর কোন বাবা মা তাদের সন্তানকে ছাত্রলীগ করতে দিবেনা। 

এই বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার এক অফিসার বলেন ঘটনা শোনার পরেই আমরা তাৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই, এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রানা তার ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ফেলে দিয়ে সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল রাত ১০ঃ৩০ টায় বোয়ালিয়া থানার এসআই আনিছ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত ও সামিউল ইসলামের জিম্মায় মোটরসাইকেল দুটি হস্তান্তর করে। এই বিষয়ে সিসি ফুটেজ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই বিষয়ে জানার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি রানার মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও সে একবারও ফোন রিসিভ করেনি।

Post a Comment

0 Comments