নগরপিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সুনিপুণ হাতে গড়ে ওঠা রাজশাহী নগরী

 


প্রিন্ট ব্লগ : প্রানের শহর রাজশাহী। এ শহরের আয়তন ৯৭ বর্গকিলোমিটার প্রায়। অনেকে বলে এটি শিক্ষা নগরী। কারন হিসেবে সকল ধরনের মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই শহরে। প্রায় দুই লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী মুখরিত এই শহর যেন বুদ্ধিচর্চার এক তীর্থস্থান। বর্তমানে এই শহরে অনেক বিদেশি ছাত্রদের লেখা পড়া করতে দেখা যায়।


শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে শহীদ এএইচএম কামারুজামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা, শেখ রাসেল পার্ক, লালনশাহ পার্ক সহ অনেক বিনোদন কেন্দ্র। টি বাঁধ, আই বাঁধসহ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে পদ্মাতীরে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে যেন পর্যটন নগরী হিসেবে ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করছে। রাজশাহী নগরীর সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিদিন সোসাল মিডিয়ায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভিডিও। রাতের বেলায় এ শহর যেন আলো ঝলকানো রুপকথার শহর। নগরী সকল রাস্তা পথ যেন সদ্য তৈরি করা প্রানবন্ত মনে হয়। আবার সকাল বেলা এই শহর যেন ধুলিকনা মুক্ত ঝকঝকে পরিষ্কার শহর। এজন্য এই শহর সবচেয়ে পরিছন্ন শহর হিসাবে বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এ শহরে কিছু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বসবাস করলেও সেরকম কোন বস্তি চোখে পড়ে না। যা আছে তা রেল লাইন কেন্দ্রিক।


প্রাথমিক স্বাস্হ্যসেবা সহ সকল চিকিৎসা এ শহরে রয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবেলায় এ শহর সকলের নিকট প্রশংসা লাভ করেছিল।সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। তারই সফলতা স্বরূপ জাতীয়ভাবে ইপিআই কর্মসূচিতে পরপর দশবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দেশসেরা হয়েছে।


এ শহর আবার সিল্কসিটি হিসাবে পরিচিত। সিল্কের জন্য দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে নাম ছড়িয়ে গেছে। রাজশাহী শহরকে আমের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। মে-জুন-জুলাই এ তিন মাস সুমিষ্ট বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায়।


বিশ্বের কম বায়ু দুষনের এ শহরে পরিকল্পিত ভাবে গাছ লাগানোর ফলে এটি সবুজ নগরী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইতিমধ্যে ‘বৃক্ষরোপণ, সবুজায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। পরিবেশ উন্নয়নে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১’ পেতে যাচ্ছে রাসিক। একটি বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহী শুধু দেশেই নয় বিশ্বেও সমাদৃত হচ্ছে। ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি ও হেলদি সিটি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত রাজশাহী নগরী৷


এশহর আমাদের গর্বের, আমাদের অহংকারের। আর এ বিভাগীয় শহর টি যার পরিকল্পনা ও সরাসরি তত্বাবধানে গড়ে উঠেছে তিনি এশহরের প্রানপুরুষ দুই বারের সফল মেয়র, নগরপিতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর সুনিপুণ হাতের পরসে এ শহর যেন স্মার্ট নগরীর পরিচিতি লাভ করতে খুব বেশি দেরী নেই।


লেখক:

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।

Post a Comment

0 Comments